প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) দেখানো এবং এর কারিগরি দিক যাচাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও কারিগরি দলকে ধারাবাহিকভাবে ডাকা হচ্ছে। ইসির নিবন্ধিত দলগুলোকে তিন ভাগ করে তিন দিনে এই যন্ত্র দেখানো হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ রোববার বিকেল ৩টা থেকে এ প্রদর্শনী শুরু হবে। ইভিএম নিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই দলগুলোর আস্থা অর্জনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তবে ইসির এই ইভিএম প্রদর্শনীতে যাবে না বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল।'
-নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (পরিচালক জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রথম দিন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৩ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতি দল থেকে সর্বোচ্চ চারজন প্রতিনিধি এই প্রদর্শনীতে যোগ দিতে পারবেন। আগামী মঙ্গলবার বিএনপিসহ ১৩ দল এবং সর্বশেষ ২৮ জুন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৩ দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে। যদিও বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে ইসির এই আমন্ত্রণে অংশ না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
'আগামী বছরের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে এই যন্ত্র প্রদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি বিষয়ে প্রশ্নোত্তর, মতবিনিময়ের জন্য এ ব্যবস্থা নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এতে দলগুলোর পক্ষ থেকে ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে বলে আশা করছে ইসি।'
* যাচ্ছে না বিএনপিসহ কয়েকটি দল: ইসি আয়োজিত ইভিএম প্রদর্শনীর চিঠি এখনও পায়নি বিএনপি। চিঠি না পেলেও ওই প্রদর্শনীতে যাবে না দলটি। এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপেও যায়নি তারা। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, এই নির্বাচন কমিশন তাঁরা মানেন না। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আগে এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আজ শুরু ইসি নিবন্ধিত দলের ইভিএম দর্শন
'বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি তো এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই যাবে না। সেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত এই ইভিএম প্রদর্শনীতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের মূল দাবি এই সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। তা না হলে তো নির্বাচনই হবে না। দেশেও ভোট বলে কিছু থাকবে না।'
-এর বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি গত শুক্রবার চিঠি পেয়েছে বলে জানা গেছে। প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য দলের সাংগঠনিক সভা ডেকেছে দলটি। তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংলাপে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান তাদের।
'২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি চিঠি পেয়েছে। দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ বলেন, ইভিএম হচ্ছে একটি চুরির বাক্স। এটাকে জায়েজ করার প্রদর্শনীতে যাচ্ছি না। কল্যাণ পার্টি এখনও চিঠি পায়নি। তারাও প্রদর্শনীতে যাবে না বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। যদিও এর আগে রাষ্ট্রপতির সংলাপে কল্যাণ পার্টি অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া গণফোরামের একটি অংশ চিঠি পেলেও যেতে পারছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মোকাব্বির খান এমপি। তিনি জানান, সিলেটে পানিবন্দি মানুষের পাশে থাকার কারণে তিনি এ প্রদর্শনীতে যেতে পারছেন না।'